মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি, melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম টা জানো। শিশুদের মেলফিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, melphin syrup khawar niyom
আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়লেই আপনি জানতে পারবেন মেলফিন সিরাপ এর কাজ, শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম, বড়দের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম এবং এই সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই আপনি যদি melphin 10 ml সিরাপ সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সকল বয়সের মানুষদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র মেলফিন সিরাপ এর কাজ অথবা উপকারিতা জানার পরে melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম না জেনেই সেটি খাওয়া শুরু করে দেয়। কিন্তু এরকম যারা করবে তারা কিন্তু উপকারিতার পরিবর্তে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। তাই আপনি যদি একজন সচেতন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনি আগে জেনে নেবেন যে চিকিৎসক নির্দেশিত melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম কি, যা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি
আপনারা কিন্তু আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি? অর্থাৎ এটি সেবন করার ফলে এটি আমাদের শরীরে কি কি ধরনের কাজ করে থাকে। তো যেহেতু অনেক মানুষ আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে তাই আমরা একটি বড় ধরনের এনালাইসিস করেছি এবং সকল তথ্যের সম্মিলিত রূপ হিসাবে আমরা আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করেছি।
তবে একটা কথা আগেই জেনে নিতে হবে যে আপনি যদি যে কোন ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে সেই ওষুধের উপাদান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাই আপনি যদি মেলফিন সিরাপ এর কাজ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে চান অর্থাৎ এটি কত প্রকার রোগের জন্য কাজ করে থাকে সেটি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে প্রথমে সেই উপাদান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশ এমন একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে ব্যাপক হারে কৃমির সংক্রামক দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তখন চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা বাংলাদেশের আধুনিক চিকিৎসা এত ভাল রূপ ধারণ করতে পারেনি যে তারা এই ধরনের রোগের চিকিৎসার অল্প সময়ের মধ্যে প্রদান করতে পারবেন। তারপর অনেক শিশু কিন্তু কষ্টে জীবন যাপন করেছে কিংবা শেষ পর্যন্ত মারা গেছে শুধুমাত্র এই কৃমি সংক্রমণের কারণে।
আসলে কৃমির সংক্রমণ আসলে এমন একটা রোগ যেটা হওয়ার ফলে পেটের মধ্যে মারাত্মক জ্বালা যন্ত্রণা করে এবং শরীরের রক্ত শুকিয়ে যায়। কারণ এই কৃমি শরীরের রক্ত সবগুলো খেয়ে ফেলে তাদের জীবন যাপন করে এবং ব্যবহারের বংশবৃদ্ধি করতে থাকে।
আর আগে আগের সময় কিন্তু মানসম্মত কিংবা স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা ছিল না যার ফলে কিন্তু এই ধরনের রোগের সংক্রমনগুলো অধিক হারে বেড়ে যেতে শুরু করেছিল। যখন আস্তে আস্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন অন্যান্য চিকিৎসা করলো এবং কার্যকর ভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু করল তখনই কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল এই চিকিৎসা ক্ষেত্রে।
যদিও তখন বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক এবং অন্যান্য কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল কিন্তু সেগুলো সময় সাপেক্ষ এবং তৎক্ষণিকভাবে কাজ করতে পারত না। সেই ধারণা থেকে মূলত অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার উপরে মানুষের ভরসা এবং বিশ্বাস ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
আপনারা হয়তো অনেকেই Beximco Pharmaceuticals Ltd এর নাম শুনেছেন। বাংলাদেশ যতগুলো ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে স্থান কিন্তু অধিকার করছে এই ফার্মাসিটিক্যাল কম্পানিটি। তবে এই কোম্পানির বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো অন্যান্য ওষুধের তুলনায় ওই রোগ সারানোর ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো কাজ করে থাকে।
তো ঠিক তেমনি একটি সিরাপ হল এই মেলফিন। আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন যদি এই মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি তা পরিপূর্ণভাবে জানতে পারেন। কারণ ছোট্ট এই সিরাপ বা সাসপেনশনটি যে এত কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারে আপনার কোন ধারণা নাই। যখন এই সিরাপটি কিংবা এই জাতীয় এলোপ্যাথি ওষুধগুলো প্রস্তুত করা হয়েছিল না কোন কিন্তু বাংলাদেশের কবিরাজি চিকিৎসা বিদ্যা ব্যাপক হারে জনপ্রিয় ছিল।
বিষয়টি যদি এরকম হয় যে আপনার চোখের সামনে আপনার সন্তান কৃমি সংক্রমণ হওয়ার কারণে ব্যাপক হারে জ্বালা যন্ত্রণা করার কারণে সে কান্না করছে কিন্তু আপনি এমন একটি চিকিৎসা ব্যবহার করেছেন যে চিকিৎসার পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে অনেক সময় লাগবে। তাহলে আপনি একজন অভিভাবক হয়ে আপনার মনের মধ্যে কেমন অনুভূত হবে।
তো ঠিক এমনিভাবে আপনি যদি এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতি করতে চান কিংবা তৎক্ষণাৎ কৃমি রোগের চিকিৎসা আপনার ছোট্ট সোনামণিদের দিতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই মেলফিন সিরাপ সেবন করাতে হবে। যখন একটি শিশু শরীরে কৃমি সংক্রমণ করে তাহলে তখন কিন্তু তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, মুখে রুচি থাকে না, শরীর শুকিয়ে যায়,
মেলফিন সিরাপ এর কাজ অনেকগুলো রয়েছে। অনেকে কিন্তু এখানে একটা ভুল করে সেটা হচ্ছে অনেকে মনে করে শুধুমাত্র এই ওষুধটি কৃমি রোগের জন্যই মনে হয় কাজ করে থাকে। তবে এটি বাদেও কিন্তু এই সিরাপের অন্যান্য কার্যকারিতা গুলো রয়েছে। এর অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ রক্তশূন্যতা দূর করে, মুখের রুচি ফিরিয়ে আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি।
তাই আপনি যখন এই মেলফিন সিরাপ আপনার শিশুকে খাওয়াই দিবেন তখন তারা কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে এই কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে এবং তাদের পেটের মধ্যে কোন ব্যথা বা জ্বালা যন্ত্রণা হবে না। তবে এটি খাওয়ানোর পরে অবশ্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন। আশা করি জানতে পেরেছেন মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে।
melphin 10 ml সিরাপের উপকারিতা
আপনি যদি উপরের অংশটুকু অর্থাৎ মেলফিন সিরাপ এর কাজ কি এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলেই তোমাদের হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আসলে এই সিরাপটি খাওয়ার ফলে কি কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। তবে এই সিরাপটি থেকে যে উপকারিতা গুলো পাবেন তার মধ্যে সবথেকে ভালো এবং সবথেকে বেশি পরিমাণে যে উপকারিতা পাওয়া যায় সেটা হল কৃমির আক্রমন থেকে রক্ষা।
melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম - মেলফিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
উপরের অংশগুলো যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে কিন্তু ঈদের মধ্যে আপনি মেলফিন সিরাপ সম্পর্কে একটি মোটামুটি লেভেলের ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এখন বিষয় হল আপনি উপরের অংশগুলো পড়ে মানে এর উপকারিতা যতগুলো পেয়েছেন সেগুলো আসলে আপনি যদি আপনার নিজের শরীরের মধ্যে দেখতে চান কিংবা ইমপ্লিমেন্ট করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে প্রথমে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আর সেই বিষয়টি হলো melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম। আপনি যদি এটি সঠিকভাবে অনুসরণ না করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি সারা জীবন যদি আপনার শিশুকে এই সিরাপটি খাওয়ায় যান তাহলে কিন্তু কোন প্রকার উপকারিতা পাবেন না। আবার এমন কি এমন হতে পারে যে আপনি যদি বেশি পরিমাণে সেবন করেন কোন নিয়ম অনুসরণ না করে তাহলে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্মত হতে পারে।
১ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
কোন শিশুর বয়স যদি ১ বছর হয় অর্থাৎ এসে কিন্তু অনেক ছোট এবং তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয়ে থাকে। তাকে নবজাতকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে রাখা যায়। এরকম পরিস্থিতিতে যদি শিশুটির কৃমির রোগ দেখা যায় তাহলে কিন্তু আপনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে কখনোই তার ওষুধ খাওয়ার নির্দেশনা দিতে পারবেন না কিন্তু তাকে ওষুধ খাওয়াতে পারবেন না।
এরকম পরিস্থিতিতে আপনাকে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম ব্যাপক পরিমাণে দুর্বল হয়ে থাকে তাই আপনি যদি ভুল নিয়মে সফল করেন তাহলে কিন্তু মারাত্মক রকমের পার্শ্ববর্তী হতে পারে। আপনি যদি আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ সুন্দর চান এবং তাকে একটি সুনির্দিষ্ট এবং সুন্দর স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বড় করতে চান তাহলে এই ধরনের ভুল কখনোই করবেন না।
২ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
শিশুর বয়স যখন দুই বছর হয় তখন সে এক বছরের যেরকম ছিল তার থেকে একটু বেশি পরিমাণে সক্রিয় এবং বড় হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে যদি আপনি আপনার শিশুর মানে কৃমির রোধ দেখতে পান তাহলে আপনি কি করবেন এটাই হয়তো আপনার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগেছে। তো এরকম পরিস্থিতিতে আপনি প্রথমে কি করবেন যে আসলে আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাবেন আপনার শিশুকে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে যারা হাসপাতালে থাকবে কর্তৃপক্ষ কিংবা ডাক্তার অথবা সেখানে যদি শিশু বিশেষজ্ঞ থাকে তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনার শিশুকে আগের নজরদারি করবে। বিভিন্ন মেশিনপত্র কিংবা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আসলে দেখবে যে আপনার শিশুর প্রধান সমস্যা কি কি রয়েছে।
আর কৃমি কিন্তু বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এজন্য আগে দেখতে হবে যে আসলে কোন ধরনের কৃমি তাকে আক্রমণ করেছে। তাই সাধারণ মানুষের কি আপনি কখনো এই কাজটি করতে পারবেন না যে শুধুমাত্র ডাক্তারটা করতে পারবে ভাই। আপনি কখনো এই ধরনের রিক্স নেবেন না। তাই আপনি যদি মেলফিন সিরাপ এর কাজ জানার পরে আপনার শিশুকে খাওয়ানো শুরু করে দেন তাহলে কিন্তু অনেক বড় ভুল করে ফেলেছেন।
৩ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
আপনার শিশুর বয়স যদি তিন বছর হয়ে যায় তাহলে কিন্তু তার মোটামুটি লেভেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে এবং সে মোটামুটি সকল ধরনের খাবার খেতে শুরু করেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার সেসব যদি কৃমির রোগ দেখা দেয় তাহলে প্রথমে আপনি ফার্মেসিতে চলে যাবেন। ফার্মেসিতে যাওয়ার পরে melphin 10 ml সাসপেনশন বা সিরাপটি ক্রয় করে নিয়ে আসবেন।
নিয়ে আসার পরে আপনি পরিমিত পানি চুলায় দিয়ে গরম করে নিবেন। এর পরে melphin সিরাপের মুখ খুলবেন এবং পরিমিত পরিমাণে গরম পানি সেখানে দিবেন। পানি দেবার পরে সিরাপের মুখ বন্ধ করে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নেবেন এবং ভালোভাবে সাসপেনশনটি প্রস্তুত করে নিবেন তরল হিসাবে। এর পরে যেহেতু আপনার শিশুর বয়স যেহেতু তিন বছর তাই তাকে খাওয়ানোর পরে একবার সেবন করাবেন।
এরপরে যেদিন খাইছেন তারা সাত দিন পরে আরো একবার খাওয়াবেন একই নিয়ম অনুসরণ করে। অর্থাৎ প্রথম দিন খাওয়াবেন এবং তার সাত দিন খাওয়াবেন অর্থাৎ 14 দিন এভাবে খাওয়ানোর পরে যতটুকু পরিমান সিরাপ অবশিষ্ট থাকবে সেগুলো আর কখনোই খাওয়ানো যাবে না সেগুলো ফেলে দিতে হবে।
তবে এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে কিন্তু অন্য শিশুদের এটি সেবন করাতে পারবেন এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। মোটামুটি দুজন শিশু একটি melphin সিরাপ খেতে পারবে যদি তাদের বয়স তিন বছর হয়ে থাকে। তিন বছরের বেশি হলে যত বেশি পরিমাণে খাওয়ানোর প্রয়োজন করে তাই প্রত্যেক জানার জন্য একটি করে প্রযোজ্য হবে।
৪ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
আপনার শিশুর বয়স যদি চার বছর হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনার আর কোন মোটামুটি লেভেলের টেনশন করা লাগবে না। কারণ সে মোটামুটি সব কিছু বোঝা শিখে গিয়েছে এবং সকল খাবার শেষ সেবন করতে পারে। যেহেতু এই ওষুধটি একটু তিতো স্বাদযুক্ত তো তাই যদি তারা সরাসরি এটি খেতে না যায় তাহলে খাবারের সাথেও খাওয়াতে পারেন এদের কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
ওই একই ভাবে আপনি প্রথমে প্রস্তুত করে নেবেন এবং একই নিয়মে খাওয়াবেন এবং সাত দিন পরে আবার খাওয়ানোর পরে অবশিষ্ট অংশ ফেলে দেবেন। তবে মনে রাখবেন আপনাকে অবশ্যই কিন্তু এই নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে। আর অতিরিক্ত উপকারিতা পাওয়ার জন্য আবার বেশি পরিমাণে সেবন করায়েন না তাহলে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারবে।
৫ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
পাঁচ বছর বয়সে শিশুদের জন্য আপনাকে ঠিক একই ভাবে ওই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন হয়েছে। আপনি যেখানে আগে দিনে শুধুমাত্র একবার অর্থাৎ একদিনে একবার এবং পরবর্তী সাতদিন পরে আরো একবার খাওয়াইছেন পরিবর্তনটা এখানেই করতে হবে।
আপনি যেখানে তিনি একবার খাওয়া হয়েছেন এখন দিনে খাওয়াবেন আপনি দুইবার। দুইবার প্রথম দিন দুইবার এবং তার সাত দিন পরে আরো দুইবার এবং অবশিষ্ট অংশ ফেলে দিতে হবে। এছাড়া melphin সিরাপ খাবার আহমরি আর কোন পার্থক্য বা পরিবর্তন নেই। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এটা অবশ্যই পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে।
১০ বছরের শিশুদের melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
একটি শিশুর বয়স যখন দশ বছর হয় তখন সে মোটামুটি লেভেলের কিশোর বয়সী হয়ে যায়। তো এরকম পরিস্থিতি কিংবা এরকম বয়সে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এটা খেয়াল রাখতে হবে সে এখন বড় হয়ে গিয়েছে এবং তার প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য লেভেলে ফেলে দিয়েছে। এ সময় কিন্তু আপনাকে আগের নিয়ম অনুসরণ করলে হবে না।
১০ বছর বয়স হয়েছে মানে তাকে অবশ্যই মেলফিন সিরাপ পাশাপাশি আরও বেশ কিছু চিকিৎসা কেন্দ্র ওসব পত্র খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই সব থেকে ভালো হয় আপনি প্রথমে melphin সিরাপ খাওইয়ে দেখবেন। যদি ভালো হয় হল না হলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
১৫ বছরের ও তার উপরের বয়সীদের জন্য melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম
১৫ বছর বয়স হয়ে গেলে সে কিন্তু আর শিশু থাকবে না সে এখন বড় হয়ে গিয়েছে। আর এরকম বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য সবথেকে ভালো হয় একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে। আপনার নিকটস্থ জীবন হাসপাতাল থাকে তাহলে প্রথমে আপনি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন এবং ডাক্তারেরা তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবস্থা করে দিবে।
আর আমাদের দেশের স্কুলে কিন্তু কৃমির জন্য সরকারি উদ্যোগে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। তাই সে যদি এই ট্যাবলেট খেয়ে থাকে তাহলে কিন্তু তার কৃমির রোগ সম্ভাবনা খুবই কম। তারপরে যদি খুব একটা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কিন্তু প্রয়োজন হচ্ছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য শুধুমাত্র মেলফিন সিরাপ এর কাজ জানলেই হবে না এর পাশাপাশি আপনাকে এই তথ্যগুলো জেনে নিতে হবে।
বড়দের melphin 10 ml সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
১৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের জন্য যে চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবস্থা কথা উপর উল্লেখ করা হয় তাদের যদি কৃমির রোগ দেখা যায় তাহলে তাদের কিভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে ঠিক একইভাবে কিন্তু বড়দের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এখানে কিন্তু আহামরি খুব একটা পরিবর্তন কিংবা পার্থক্য নেই এই নিয়ন্ত্রণ করলে যথেষ্ট হবে।
melphin 10 ml খাওয়ার আগে না পরে
শিশুদের কিংবা বড়দের জন্য কিন্তু একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে এই melphin সিরাপ খাওয়ার জন্য। অর্থাৎ এটা কিন্তু খাওয়ার আগেই খাওয়াই দিতে হবে। আপনি চাইলে আধাঘন্টা আগে কিংবা খাবার পূর্বে খাওয়াই দিলেই হবে এতে কোন প্রকার একটা সমস্যা হবে না।
melphin 10 ml কতদিন খেতে হবে
এটা যেহেতু কৃমি রোগের জন্য কাজ করে থাকে তাই এটা সেবনের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে অর্থাৎ তাদের মতাদর্শ অনুসারে এটি প্রতি তিন মাসে একবার সেবন করা উচিত। আর যেহেতু আপনারা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তাই আপনাকে আসলে অতিরিক্ত ভাবে আর বোঝানোর প্রয়োজন হবে না। যেহেতু একদিন খাওয়ার পরে আবার সাত দিন খেতে হয় তাই এটা সর্বোচ্চ 14 দিন পর্যন্ত খেতে হবে।
melphin 10 ml এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক
শুধুমাত্র মেলফিন সিরাপ এর কাজ জানলেই হবে না এগুলোর পাশাপাশি কিন্তু আপনাকে অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নিতে হবে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র কাজ এবং উপকারিতা দেখে খাওয়ানো শুরু করে দেয় কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে ধারণাও রাখে না যার ফলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সম্মুখীন হয়।
প্রত্যেকটি ওষুধের মত কিন্তু melphin 10 ml এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে সেগুলো খুবই সামান্য পরিমাণে হয়ে থাকে। আর চিকিৎসক নির্দেশিত খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করলে এ ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে পরিপূর্ণ রূপে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রি গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ পেটে ব্যথা, বমি বমি হওয়া ইত্যাদি।
মেলফিন সিরাপের দাম
মেলফিন সিরাপের 1o ml বর্তমান বাজার মূল্য মাত্র ১৫ টাকা। আপনি কিন্তু যে কোন ফার্মেসি থেকে খুব সহজে ক্রয় করতে পারবেন এ কারণে এটি বাংলাদেশের অধিকাংশ ফার্মেসিতে খুব সহজে পাওয়া যায়।
শেষ বক্তব্যঃ melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম, মেলফিন সিরাপ এর কাজ
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা এবং সম্মান রইল। কারন অনেকেই শেষ পর্যন্ত যার ফলে কিন্তু আসল তথ্য তারা পেতে পারে না। আর আমাদের ওয়েবসাইটে কিন্তু এ ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্য প্রকাশ করা হয় আর্টিকেলের মাধ্যমে।
যেরকম আজকের আর্টিকেলটি পড়ে কিন্তু আপনি মেলফিন সিরাপ এর কাজ, melphin 10 ml খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করে বাসায় থাকবেন তাহলে নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করার মতোই আপনার কাছে নোটিফিকেশন হিসেবে চলে যাবে। আর অন্য কোন বিষয় জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url