vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও কতদিন খেতে হয়
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। তাই আপনি যদি vitalgin সকল তথ্যসমূহ বিশেষ করে vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয়গুলো যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত করতে ভুলবেন না।
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র vitalgin সিরাপ এর উপকারিতা জানার পরে খাওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নাও যেটি মোটেও উচিত নয়। কারণ আপনি যদি বিশেষ করে এ সম্পর্কে সকল তথ্য না জেনে খাওয়া শুরু করেন তাহলে কিন্তু vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন সচেতন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কিন্তু এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আর vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকতে গেলে আপনাকে নিচের টিপস গুলো অনুসরণ করতে হবে।
ভাইটালজিন সিরাপ এর কাজ কি
আমাদের কাছে মোটামুটি অনেক ব্যক্তি কিন্তু এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে তাই ভাবলাম যে সম্মানিত সবার চাহিদা অনুসারে একটি কম্প্যাক্ট আর্টিকেল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি। তো প্রথমেই এই ওষুধের পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এটি হলো বাংলাদেশের অত্যাধিক স্বনামধন্য একটি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের একটি ঔষধ। এর জেনেরিক নাম হচ্ছে মাল্টভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল প্রিপারেশন।
এর কার্যকারিতার বলতে গেলে মনে প্রথমে যদি আপনি মোটামুটি এর উপাদান সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে কার্যকারিতা সম্পর্কে একটু ধারণা লাভ করতে পারবেন। কারণ যে কোন সিরাপ কিংবা ওষুধের কার্যকরী কিন্তু পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করে এর উপাদানের ওপর। উপাদানের মধ্যে কিন্তু বেশ উপকারী উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকার করে থাকে।
এর উপাদানের মধ্যে ভিটামিন A, C, D3, E, B1, B6, B12 রয়েছে যেগুলো মূলত আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এর ঘাটতি ব্যাপকভাবে পূরণ করে থাকে। তাই আপনার শরীরে যদি এই ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে কিন্তু আপনি যদি এই সিরাপ সেবন করেন তাহলে কিন্তু সকল ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে এবং বৃদ্ধি সাধন করবে।
তাই বুঝতে পারছেন যে আসলে মেন কথা হল এই ধরনের উপাদানগুলো আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত হয়। কিন্তু হয়তো কোন একটা কারণে যখন এগুলো আমাদের শরীরে চাহিদা অনুসারে প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত হয় না তখন কিন্তু এগুলোর ঘাটতি দেখা দেয়। তাছাড়া আমাদের শরীরকে এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে শরীরের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই উৎপন্ন করতে পারে প্রয়োজন অনুসারে।
কিন্তু কোন একটা কারণে হয়তো এ ধরনের উপাদানগুলো আর ওইভাবে প্রয়োজন অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন হতে পারে না যার ফলে কিন্তু এই ধরনের বিভিন্ন ঘাটতি দেখা দেয়। তাই আপনার যদি এ ধরনের কোন প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু এই সেটআপটি সেবন করতে পারেন কারণ এই সেটআপ সেবনের মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত ভাবে আলাদা ভাবে আপনার শরীরকে এই ধরনের উপাদান গুলো প্রয়োগ করছেন।
এছাড়া আপনি যদি শিশুরা সেবন করে তাহলে কিন্তু তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে, স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে, অপুষ্টি জনিত সকল সমস্যা দূর করে দেবে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।, আর কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এক কথায় বলতে গেলে মোটামুটি অনেক রকমের উপকারিতা কিন্তু এটা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি জানতে পেরেছেন ভাইটালজিন সিরাপ এর কাজ কি।
vitalgin সিরাপ খেলে কি হয়
আপনি যদি এই অংশটুকু পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে কিন্তু ইতিমধ্যে এ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারনা পেয়ে গিয়েছেন বলে আমি আশা করছি। আর যদি মনোযোগ সহকারী এ পর্যন্ত পড়তে না পারেন এবং আপনার মনের মধ্যে যদি এই প্রশ্নটি উত্থান হয়ে থাকে তাহলে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আবার পরে ফেলেন তাহলে কিন্তু এর উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
vitalgin খেলে কি মোটা হয় নাকি
vitalgin খেলে অবশ্যই মোটা হয় এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। কারণ এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান দেওয়া রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে কার্যকর ভাবে কাজ করার পর থেকে আমাদের ঘনঘন ক্ষুধা লাগে। আর এই ক্ষুধা লাগার কারণে কিন্তু আপনি ঘন ঘন খাবার খাবেন এবং খাবার গ্রহণ করার কারণে কিন্তু আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
তবে এই সিরাপ কি খাবার কলেজে মোটা হয়ে যাই শরীর এটা মূলত একটু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। আপনি মনে করবেন না যে এই সিরাপটির প্রস্তুত করা হয়েছে মূলত মোটা করার জন্য শরীরে। এই ওষুধটি শরীরের যত ধরনের পুষ্টির জনিত চাহিদা রয়েছে সেগুলো পূরণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কিন্তু এই ওষুধটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীর মোটা হয়ে যায়।
ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি
খাওয়ার নিয়মের যে বিষয়টা আসলে সেটি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে। মনে করেন আপনি যখন ডাক্তারের কাছে যান তখন ডাক্তার আপনার বয়স আপনার রোগের ধরন আপনার পুষ্টি জনিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারে। আর সেজন্য কিন্তু একজন চিকিৎসক আপনাকে একদম পরিপূর্ণ এবং স্বয়ং সম্পূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা দিতে পারবে।
আর এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যেহেতু আমি আপনার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাচ্ছিনা তাই চেষ্টা করি অনুসারে ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো যাতে আপনি আপনার নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অনুসারে খাওয়ার নিয়ম জেনে নিতে পারেন। তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত এই ওষুধটি সেবন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে কখনোই এই নিয়মটি অনুসরণ করা আপনার জন্য খুব একটা যুক্তিযুক্ত হবে না।
কারণ দীর্ঘদিন যাবত সেবন করার জন্য অবশ্যই কিন্তু একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করার প্রয়োজন না হলে কিন্তু আপনি vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবেন। তো খাওয়ার নিয়মের কথা বলতে গেলে বয়স যদি মোটামুটি এক বছরের মত হয়ে থাকে তাহলে দৈনিক এক চামচ করে খেতে হবে। বয়স যদি এর থেকে চার বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু মোটামুটি এক থেকে দুই চামচ পর্যন্ত খাওয়াতে পারেন।
আর বয়স যখন চার থেকে 12 বছরের পর্যন্ত চলে যাবে অর্থাৎ যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাবে এবং শিশুটি যখন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে তখন মোটামুটি দুই থেকে তিন-চার মাস পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন। আর এর উপরের বয়সে কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মোটামুটি তিন থেকে চার চামচ প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন।
vitalgin সিরাপ কতদিন খেতে হবে
vitalgin সিরাপ আশা অন্যান্য যেগুলো মোটা হওয়ার কিংবা পুষ্টি পরিপূর্ণ করতে পারে এরকম যত ধরনের সেরা পড়েছে সেগুলো মোটামুটি অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত সেবন করতে হয়। যেহেতু এগুলো ডোজ হিসাবে কাজ করে থাকে তাই আপনি যদি এক মাস খাওয়ার পরে বাদ দিয়ে দেন তাহলে ওই ওষুধটি খাওয়া আর না খাওয়ার মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্য থাকবে না।
তাই এই ওষুধটি খাওয়ার যদি আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন এবং আপনার মনের মধ্যে যদি প্রশ্ন হয়ে থাকে যে vitalgin সিরাপ কতদিন খেতে হবে তাহলে জেনে নিন এটি 6 মাস পর্যন্ত একাধারে সেবন করে যেতে হবে।
vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মোটা হওয়ার যত ধরনের ওষুধ রয়েছে সফল ঔষধ সহ vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আপনি কোনভাবেই এটিকে অস্বীকার করতে পারবেন না কিংবা এটাকে মানে অবিশ্বাস করতে পারবেন না। আপনি যদি এটি দীর্ঘদিন যাবৎ সেবন করতে থাকেন তাহলে কিন্তু সিরিয়াস ইনজুরি হতে পারে কিংবা মানে সিরিয়াস কোন আপনার অর্গানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তো এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আর শরীর ফুলে মোটা হয়ে যাওয়া, চোখে কম দেখা, এলার্জির প্রতিক্রিয়া, অত্যাধিক ঘুম ইত্যাদি। তবে এ ধরনের প্রথম দিকে সাধারণ অবস্থায় থাকলে কিন্তু পরবর্তীতে মারাত্মক ধারণ করতে পারে। আর মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে কিডনিতে পানি জমা সহ অন্যান্য জটিল রোগ।
তাই আপনারা যখনই এই ওষুধটি সেবন করবেন কিংবা সেবন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তার পূর্বে কিন্তু অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন। কারন এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানেনা কিন্তু চিকিৎসকরা কিন্তু সে সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা দিতে পারবে।
আর আপনার উদ্দেশ্য যদি থাকে মোটা হয় তাহলে আপনার ওষুধ খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই কারণ আপনি মোটা হতে গিয়ে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হবেন এবং শরীরের ক্ষতি করে ফেলবেন যেটা ভবিষ্যতের জন্য অনেক খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে পারে আপনাকে। vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো যেহেতু অনেক মারাত্মক হতে পারে তাই আপনার উচিত এ সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা।
vitalgin syrup এর দাম
এটি মূলত ১৯০ এম এল এর একটি বোতল রয়েছে যেটার দাম মোটামুটি ২০০ টাকার মত। তবে স্থান ভেদে এটি আলাদা আলাদা হতে পারে তবে আপনি যেহেতু সঠিক দাম জেনে ফেলেছেন তাই আশা করছি আপনি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তাই ঠকবেন না কোন জায়গায়। আর বাংলাদেশের মোটামুটি সব ফার্মেসিতে কিন্তু এই সিরাপটি পাওয়া যায়।
শেষ কথা: vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে কিন্তু আপনি vitalgin সিরাপ ফুল তথ্য মোটামুটি জানতে পেরেছেন। তবে এতটুকু বলা যায় যে আপনি যদি আর্টিকেলটি মানে এই সিরাপ সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন কোন তথ্য সম্পর্কে তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনাকে আর অন্য কোন আর্টিকেল কিংবা অন্য জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা লাগবে না।
কারণ আজকের এই পোস্টটি কিন্তু vitalgin সিরাপ সম্পর্কিত যত ধরনের প্রশ্ন এবং জিজ্ঞাসা রয়েছে সেগুলো কিন্তু আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি একজন ডাক্তারের কাছে যান তাহলে ডাক্তার যেভাবে বুঝিয়ে দিবে আপনাকে সেভাবে কিন্তু মোটামুটি আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে আপনার মনের প্রশ্ন না থাকে। তাই আশা করছি vitalgin সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url