এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, খাওয়ার আগে না পরে ও অপকারিতা জান। এলকুলি সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা, এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, এলকুলি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে, এলকুলি সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম পরিপূর্ণভাবে জানতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ও এলকুলি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে সেই সম্পর্কে।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা জানার পরে এটি সেবন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলে যেটা মোটেও উচিত নয়। আপনার কি আসলে এটি সেবন করা উচিত কিনা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার পরেই এ সিদ্ধান্ত নিবেন। আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে অবশ্যই জেনে নেবেন এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং এলকুলি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে সে সম্পর্কে।

আমাদের কাছে কিন্তু অনেকে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন যে আসলে এলকুলি সিরাপ এর কাজ কি? অনেকে আবার প্রশ্ন করে থাকে যে আমি এটা বিভিন্ন জায়গায় দেখি বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কিংবা বিভিন্ন মানুষকে ফার্মেসি থেকে ক্রয় করতে। আমরা বিশ্বাস করে যখনই ফার্মেসিতে যাই যদি ১০ মিনিট রাখি তাহলে এই দশ মিনিটের মধ্যে একজন ব্যক্তি হলেও এসে বলে যে এলকুলি সিরাপ দেন।

কিন্তু আমি অনেক সময় বুঝে পাইনা আসলে এই সিরাপটি মানুষ এত ক্রয় করে কেন। তো সেই মানে জানার আগ্রহ থেকে কিন্তু আমার মনে মনে একটা প্রশ্ন দেখেছে যে আসলে এটি কেন এত ক্রয় করে এবং এর কার্যকারিতা কি? এটি সেবনের ফলে আমাদের দেহে কি ধরনের উন্নতি সাধারন হয় এবং এটি কত কার্যকর ভাবে আমাদের শরীরে কাজ করতে পারে।

তো যাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তাদের কিন্তু সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে। মানে আমি এই গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে আপনি যদি এই পোস্টটি যদি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে আপনাকে এলকুলি সিরাপ সম্পর্কে অন্য কোন জায়গা থেকে আর কোন প্রকার তথ্য জেনে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

তো চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক। এখন বিষয়টা হচ্ছে যে আপনি সেবন করবেন যে সিরাপটি সেটির উপাদান সম্পর্কে আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে। কারণ কার্যকারিতা কিন্তু সবসময় নির্ভর করে উপাদানের উপরে অর্থাৎ এর মধ্যে যে ধরনের উপাদান দেওয়া হয়েছে সেই ধরনের কার্যকারিতা কিন্তু আপনি পরিলক্ষন করবেন এটাই স্বাভাবিক।

থেকে যদি বিবেচনা করা যায় এবং উপাদানগুলোর তালিকা করা যায় তাহলে প্রথমে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটা ইউনানী ঔষধ ও হামদার্দ কোম্পানি প্রস্তুত করেছে। যেহেতু এটি একটি ইউনানী ঔষধ তাই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একেবারেই কোম্পানি বললেই চলে বিষয়টি এরকম। কারণ এখানে যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক উপাদান এতে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি।

আর কেমিক্যাল দিয়ে প্রস্তুত করা হলে কিন্তু সেটা যত প্রকারই উপকারিতা প্রদান করুক না কেন ভাল রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অপকারিতা দেখা যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি গাছ গাছান্ত থেকে তৈরি করা ওষুধ সেবন করেন সেই ক্ষেত্রে কিন্তু এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা গুলোর পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে হয় কিন্তু অপকারিতা একেবারেই থাকে না। তবে অপকারিতা কিন্তু দেখাতে পারে যদি আপনি এলকুলি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে তা না জানেন।

এলকুলি সিরাপ এর উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে কাসনী মূল ও বীজ, খরমুজ বীজ, প্রিজারভেটিভ, মৌরি মূল ও বীজ, গোক্ষুরকাঁটা, চিনি ইত্যাদি। তো বুঝতে পারছেন যেখানে এতগুলো উপকারী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে তাহলে সেটি থেকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকারিতা সাধারণ হবে না কেন। তবে শুধুমাত্র এগুলো কিন্তু জানলে যে আপনি উপকারিতা পেয়ে যাবেন বিষয়টি এরকম নয় আপনি যখন সেবন করবেন তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে পরিপূর্ণভাবে।

এখন এগুলো আমাদের শরীরে কি কাজ করে সেটাই হলো আসল প্রশ্ন। মেইন কথা হলো এখানে যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের লিভার ও কিডনি নিয়ে মূলত প্রধানত কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি যে কাজটি করে থাকে সেটা হল জ্বর নিরাময়কে হিসাবে কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জ্বর এসেছে কিন্তু ঔষধ গ্রহণের পরে কিন্তু জ্বর ছেড়ে যাচ্ছে আবার চলে আসে ছেড়ে যাচ্ছে আবার চলে আসে যদি বিষয়টি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই ওষুধটি অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে এবং জ্বর নিরাময় করে যেতে পারে।

এখন বিষয়টা হচ্ছে যে এটা প্রথমত প্রসবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং প্রসবের কারণে যে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়ে থাকে সেটা থেকে কিন্তু পরিত্রাণ দেয়। কারণ যখন প্রসবের পরিমাণ অতিরিক্ত বেশি হয়ে যাবে তখন কিন্তু আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর আপনি যত বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন তত বেশি কিন্তু আপনার কিডনি ভালো থাকবে এবং কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারবেন। তবে এর উপকারিতা দেখে যে মনে করবেন যে সেবন করলে আমি পেয়ে গেলাম উপকারিতা বিষয়টি এরকম নয়, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করেন তাহলে কিন্তু এলকুলি সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

আর এই জিনিসটি যত বেশি ছাকনা হিসেবে কাজ করবে তত বেশি কিন্তু বিষাক্ত পদার্থ এবং ক্ষতিকারক উপাদানগুলো অপসারণ করতে পারবে। আর যখন কিডনি ও লিভারের সমস্যা হয় তখন কিন্তু আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আর তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণের কাজটিও কিন্তু এই সিরাপ করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যদি উপকারিতা কথা বলা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে যে জন্ডিস, হেপাটাইটিস এরকম বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাময় প্রদান করতে পারে।

আপনি যদি উপরের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে কিন্তু ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা গুলো কি কি। এর পরও যদি আপনার মনের মধ্যে এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আরেকবার উপর থেকে পড়ে নেবেন তাহলে কিন্তু বিষয়টি আপনার পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র উপকারিতাই দেখবেন না এলকুলি সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখবেন।

উপরের অংশে এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা গুলোর কথা যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে পেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে না হলে কখনোই কিন্তু আপনি এই উপকারিতা গুলো কিংবা কার্যকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র এই ওষুধ নয় যত ধরনের ওষুধ রয়েছে সেগুলো কিন্তু নিয়ন্ত্রিত এবং চিকিৎসক নির্দেশিত অনুসরণে যদি সেবন করা না হয় তাহলে কিন্তু কার্যকর ভাবে ফলাফল লাভ করা যায় না।

এখন বিষয় হচ্ছে এলকুলি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করা কিন্তু বয়স এবং রোগের ধরন ও স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অনুসারে। যদি মানে মোটামুটি হিসেবে একটি ঘর করতে চান তাহলে কিন্তু কখনো এভাবে বলা সম্ভব নয় যে আপনি এই নিয়ে অনুসরণ করে ঔষধটি সেবন করবেন। এখানে অবশ্যই দেখতে হবে যে আপনার বয়স কত এবং আপনি কি কারনে এটি সেবন করতে চাচ্ছেন। আর এগুলো জানার পরে কিন্তু অবশ্যই নিচের অংশ থেকে এলকুলি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে তা জেনে নেবেন।

তবে সবথেকে ভালো হয় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করলে। কারণ তিনি সকল কিছু বিবেচনা করে আপনাকে ঔষুধ সেবন এর নির্দেশনা প্রদান করবেন যেটা আপনার জন্য সবথেকে কার্যকর হবে। তাই এই বিষয়গুলো যদি হিসাব করা যায় এবং মাথায় রাখা যায় তাহলে আপনাকে আমি আপাতত মানে যদি বিষয়টি এরকম হয় যে আপনি কিছুদিন পরে চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন কিন্তু এই মুহূর্তে আপনাকে এই ওষুধটি সেবন করতে হবে তাহলে এই নিয়মটি অনুসরণ করতে পারেন।

আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে এক থেকে দুই চামচ পর্যন্ত সেবন করবেন প্রতিদিন এর থেকে দুইবার পর্যন্ত। আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কিন্তু দুই থেকে চার চামচ পর্যন্ত দিনে দুই থেকে চার বার পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তবে একটা আইডিয়াল বা স্ট্যান্ডার্ড মাপ হল দিনে তিনবার সেবন করা প্রতিবার এক চামচ করে। এজন্য এলকুলি সিরাপ এর উপকারিতা গুলো পেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে।